পবিত্র রমজান আসলেই খাদ্য পণ্যের দাম বাজারে হু হু করে বেড়ে যায়। এটি নতুন কোনো চিত্র নয়, প্রতি বছর বাজারে এমনটি ঘটে। এমনি বাস্তবতায় এক অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মুদি ব্যবসায়ী শাহ আলম। দাম বৃদ্ধিকারী সব সিন্ডিকেটকে পেছনে রেখে আসন্ন মাহে রমজানে ইফতার সামগ্রী দাম কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। লাভ ছাড়াই বিক্রি করছেন পণ্য।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মধ্য চরকুমিরা গ্রামে শাহ আলম মালের এই মুদি দোকান। পাশে নিজ বাড়ি। গেল দু’বছর পবিত্র মাহে রমজানে কেজিতে মাত্র এক টাকা লাভে ইফতার সামগ্রী বিক্রয় করেন তিনি। অবশ্য এবারও কেজিতে এক টাকা লাভে উপজেলার ভাটিয়ালপুর এলাকায় তার নিজের অন্য একটি দোকানে ইফতারের ৮ রকমের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন তিনি। সেটা তার ভাই ও বোন দেখাশুনা করছেন। তবে আরেক দোকানে লাভ ছাড়াই বিক্রি করছেন পণ্য।
শাহ আলম বলেন, নিজ বাড়ির পাশে কোন লাভ ছাড়াই কেনা দামেই পবিত্র মাহে রমজানের ৮টি ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে— মুড়ি, ছোলা, খেসারির ডাল, বেসন, চিড়া, চিনি, খেজুর ও সয়াবিন তেল।
দোকানে মুল্য তালিকা সাঁটানো রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও তার দোকান পরিদর্শন করেছেন।
যে দামে রমজানের পণ্য কেনা, সেই দামেই বিক্রি করছেন তিনি।
সরজমিনে গেলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘বছরের ১১ মাসই তো ব্যবসা করি, এই মাসে কোনো ব্যবসা (লাভ) করব না। পাশে আমার আরেকটি মুদির দোকান রয়েছে। গরিব- মেহনতি মানুষের জন্য কিছু একটা করার জন্য এবছর রমজানে ক্রয় মূল্যেই রোজাদারের জন্য আটটি খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করার সিদ্বান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই শুরু করছি এসব পণ্য বিক্রি।’
অন্যান্য বছর রমজানে মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা বিক্রয় হলেও এবার রমজান মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল বিক্রয় করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী শাহ আলম।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার রমজানের মালপত্র বিক্রির অর্ডার পেয়েছেন এ এলাকার লোকজন ও প্রবাসী ভাইদের কাছ থেকে।
তার দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায়, শাহ আলম, তার ভাতিজা সাকিবসহ (১৯) এসব পণ্য সামগ্রী প্যাক করছেন। দোকানে মালামালে পূর্ণ।